৯/১১-এ যা ঘটেছিল তার জন্য সমস্ত মুসলমানরা চিরকালের জন্য নিন্দা করবে এবং আমরা প্রার্থনা চালিয়ে যাব যে আল্লাহ মানবতাবাদীদের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচান। ইসলাম সন্ত্রাসবাদের ধর্ম এই কথা ভেবে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়।হযরত মুহাম্মদ (সা।) – এর সময়ে যে যুদ্ধগুলি হয়েছিল সেগুলি কোরআনের শিক্ষা অনুসারে প্রতিরক্ষামূলক ছিল। পবিত্র কোরআনের সূরা আলহাজ্ব এর ৪১-৪২ নাম্বার আয়াতগুলোতে বলা হয়েছে:
“যাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হইতেছে(তাহাদিগকে আত্মরক্ষার্থে যুদ্ধ করার) অনুমতি দেওয়া হইল, কারণ তাহাদের উপর জুলুম করা হইতেছে, এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ তাহাদিগকে সাহায্য করিতে পূর্ণ ক্ষমতাবান-
যাহাদিগকে তাদের ঘরবাড়ি হইতে অন্যায় ভাবে শুধু এই কারণে বহিষ্কার করা হইয়াছে যে তাহারা বলে ‘আল্লাহ আমাদের প্রতিপালক’। আল্লাহ যদি এই সকল মানুষের এক দল অন্য দল দিয়ে প্রতিহত না করিতেন, তাহা হইলে সাধু-সন্ন্যাসীদের মঠ, গির্জা, ইহুদীদের উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ যাহাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়, অবশ্যই ধ্বংস করিয়া দেওয়া হইত। এবং নিশ্চয় আল্লাহ তাহাদিগকে সাহায্য করিবেন যাহারা তাহার (ধর্মের পথে) সাহায্য করে, নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় শক্তিমান, মহা পরাক্রমশালী।” এই আয়াতগুলিতে এই মৌলিক শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, ধর্মের বিশ্বাসের এবং এর বিরুদ্ধে দূরাচরণের সুরক্ষা ব্যতীত অন্য কোনো কারণ জেহাদের ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়েছিলেন যে যে কেউ লুণ্ঠনের জন্য, বা তার সাহসিকতার প্রদর্শনী বা অন্য যে কোন পার্থিব উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যুদ্ধে বেরিয়েছে সে নিজেকে আধ্যাত্মিক প্রতিদান থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন যে, কোনও ব্যক্তি মুসলমান নন যার জিহ্বা এবং হাত থেকে অন্য মানুষ নিরাপদ নয়।
অনেক উদাহরণ এর মধ্য থেকে উপরের কয়েকটি উদাহরণ থেকে বোঝা যায় মুসলমানরা মানবজাতির মধ্যে ভালোবাসা ও শান্তির প্রচার করতে শান্তিকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর, ৯/১১ এর তথাকথিত মুসলমানদের দ্বারা সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা নয়।