আল খাইরু কুল্লুহু ফীল কোর’আন সকল কল্যাণ নিহিত আছে আল্ কোর’আনে (ইলহাম)। হযরত ইমাম মাহদী ও মসীহ মাউদ আলাইহে ওয়াসাল্লাম তাঁর আয়নায় কামালতে ইসলাম পুস্তকে লিখেছেন: “আল্লাহর কসম! নিশ্চয় এই পবিত্র কোরআন এক অনন্য মুক্ত। এর বাইরে আলো, এর ভিতরে আলো, এর উপরে আলো, এর নিচে কালো, এবং এর প্রতিটি শব্দে আলো। হে এক আধ্যাত্মিক বাগান। এর থোকা থোকা ফল নাগালের মধ্যেই। এর মধ্য দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত। সৌভাগ্যের প্রতিটি ফল এর মধ্যে পাওয়া যায়। এর দ্বারাই প্রতিটি প্রদীপ জ্বালানো হয়। এর আলো আমার এই হৃদয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। এই আলো আমি আর অন্য কোন উপায়েই সংগ্রহ করতে পারতাম না। আল্লাহর কসম! যদি কোরান না থাকতো, তাহলে জীবনে আমি কোন আনন্দই পেতাম না। এর সৌন্দর্য লাখো ইউসুফ এর সৌন্দর্য কে অতিক্রম করে গেছে। আমি এর প্রতি প্রবল আগ্রহে ধাবিত হয় এবং এর থেকে প্রাণ ভরে পান করি। হে আমাকে লালন করেছে, তেমনি ভাবে যেভাবে ভ্রুনো লালিত হয় গর্ভাশয়ে। এর বিস্ময়কর প্রভাবে প্রভাবিত আমার হৃদয়। এর সৌন্দর্য আমাকে দূরে নিয়ে যায় আমার আত্ম থেকে। আমার নিকট কাশফি আলোতে অর্থাৎ দিব্যদৃষ্টির অবস্থায়, প্রকাশিত করা হয়েছে যে, পবিত্রতার বাগান সিঞ্চিত করা হয় কোরআনের বাণী দ্বারা, যা জীবন দাইনি পানির এক উত্তাল মহাসমুদ্র। এর থেকে যে পান করে সে বেঁচে যায়, এবং অন্যদেরকেও বাঁচায়। পবিত্র কোরআনের যুগোপযোগী ব্যাখ্যা শুনতে এখানে ক্লিক করুন: https://voiceofislambangla.com আমরা এই কথার সাক্ষী এবং আমরা সারা দুনিয়ার সামনে এই সাক্ষ্য দান করছি যে, আমরা সেই সত্যতা সেই সাদাকাত যা খোদা পর্যন্ত পৌঁছীয়ে দেয় তা পেয়েছি কোরআন থেকেই। আমরা সেই খোদার আওয়াজ শুনেছি এবং তার শক্তিশালী নিদর্শন দেখেছি যিনি কোর’আন প্রেরণ করেছেন। অতএব, আমরা দৃঢ় ঈমান এনেছি যে তিনিই সত্য খোদা এবং তিনিই সমস্ত জগতের অধিপতি। আমাদের হৃদয় সেই দৃঢ় ঈমান দ্বারা এমন ভাবে ভরপুর যেমন পানি দ্বারা সমুদ্র ভরপুর। সুতরাং আমরা অন্তর্দৃষ্টির ভিত্তিতেই সবাইকে এই ধর্ম এবং এই আলোকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।আমরা সেই সত্য আলো বা সেই নূরে হাকীকি লাভ করেছি যা অন্ধকারের পর্দা অপসারণ করে, এবং যা আল্লাহ ছাড়া বাকি সব কিছুর প্রতি হৃদয় কে শীতল করে দেয়। এটাই একমাত্র পথ, যে পথে চলে মানুষ প্রবৃত্তির ধারণা এবং অহম-এর অন্ধকার থেকে ঠিক সেভাবেই বেরিয়ে আসে যেভাবে বেরিয়ে আসে, সর্প তার খোলস থেকে।’ -(কিতাবুল বারিয়া পৃষ্ঠা ৬৫) হযরত ইমাম মাহাদী ও মসীহ্ মাউদ আলাইহিস সাল্লাম ইসলামী নীতি দর্শন পুস্তকে লিখেন যে: সেই যে খোদা যার সাথে মিলনে মানুষ পরিত্রান বা নাজাত লাভ করে এবং চিরস্থায়ী সুখ ও আনন্দ লাভ করে, তাকে কোরআন শরীফের আনুগত্য ছাড়া কোন মতেই পাওয়া যায় না। হায়! আমি যা দেখেছি, লোকেরা যদি তা দেখতে পেত, এবং আমি যা শুনেছি লোকেরা যদি তা শুনতে পেত, এবং কেচ্ছা কাহিনী কে ছেড়ে দিয়ে প্রকৃত সত্যের প্রতি ধাবিত হত! সেই পূর্ণ জ্ঞান বা কামেল যার মাধ্যমে খোদা দৃষ্টিগোচর হন! সেই যে ময়লা ধৌতকারি পানি জার দ্বারা সকল সন্দেহ-সংশয় দূরীভূত হয়; সেই যে আয়না যার মধ্য দিয়ে মহান অস্তিত্বের দর্শন লাভ করা যায়; তা হচ্ছে খোদাতালা সাথে সেই বাক্যালাপ ও সম্বোধন যার উল্লেখ একটু আগেই আমি করে এসেছি। যার আত্মার মধ্যে সত্যানুসন্ধিৎসা রয়েছে সে উঠুক এবং অনুসন্ধান করুক। আমি সত্য সত্যই বলছি যে, যদি আত্মা গুলির মধ্যে সত্য অনুসন্ধানের আগ্রহ সৃষ্টি হয়, যদি হৃদয় গুলো পিপাসার্ত হয় তাহলে লোকেরা যেন সেই পদ্ধতিরই অনুসন্ধান করে, এবং সেই পথেরই সন্ধানে ব্যাপৃত হয়। কিন্তু, সেই যে পথ, তা কোন পদ্ধতিতে উন্মুক্ত হবে, এবং তার পর্দা কোন প্রার্থনা দ্বারা অপসারিত হবে? আমি সকল অনুসন্ধানকারী কে নিশ্চয়তা দান করছি যে, একমাত্র ইসলামই সেই ধর্ম যা সেই পথের সুসংবাদ দান করে। অন্যান্য জাতিগুলো তো বহুকাল যাবত খোদাতালার ইলহাম বা ঐশী বানীর উপর মোহরলাগিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। সুতরাং, নিশ্চিত রূপে জেনে রাখ যে, এই মোহর খোদা তা’আলার পথ থেকে লাগানো হয়নি, বরং হতাশার কারণে মানুষ এ এক বাহানা সৃষ্টি করে রেখেছে। নিশ্চয়ই জানবে যে, এটা যেমন সম্ভব নয় যে, আমরা চক্ষু ছাড়াই দেখি, কান ছাড়াই শুনি, জিব্বা ছাড়াই কথা বলি, ঠিক তেমনি এটাও সম্ভব নয় যে, কোরআন ছাড়াই সেই প্রিয় বন্ধুর চেহারা দেখি। আমি যুবক ছিলাম এখন বৃদ্ধ হয়েছি, কিন্তু আমি এমন কাউকেই পাইনি, যে ঐ পবিত্র ঝরনা ছাড়াই স্বচ্ছ মারেফাতের পেয়ালা পান করেছে।’ পবিত্র কোরআনের যুগোপযোগী ব্যাখ্যা শুনতে এখানে ক্লিক করুন: https://voiceofislambangla.com ReplyForward |
খেলাফত মানবতার জন্য আশীর্বাদ
খেলাফত: মানবতার জন্য আশীর্বাদ
https://voiceofislambangla.com/
মুসলমানরা সহিংসতা নয়, শান্তির প্রচার করে।
৯/১১-এ যা ঘটেছিল তার জন্য সমস্ত মুসলমানরা চিরকালের জন্য নিন্দা করবে এবং আমরা প্রার্থনা চালিয়ে যাব যে আল্লাহ মানবতাবাদীদের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচান। ইসলাম সন্ত্রাসবাদের ধর্ম এই কথা ভেবে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়।হযরত মুহাম্মদ (সা।) – এর সময়ে যে যুদ্ধগুলি হয়েছিল সেগুলি কোরআনের শিক্ষা অনুসারে প্রতিরক্ষামূলক ছিল। পবিত্র কোরআনের সূরা আলহাজ্ব এর ৪১-৪২ নাম্বার আয়াতগুলোতে বলা হয়েছে:
“যাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হইতেছে(তাহাদিগকে আত্মরক্ষার্থে যুদ্ধ করার) অনুমতি দেওয়া হইল, কারণ তাহাদের উপর জুলুম করা হইতেছে, এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ তাহাদিগকে সাহায্য করিতে পূর্ণ ক্ষমতাবান-
যাহাদিগকে তাদের ঘরবাড়ি হইতে অন্যায় ভাবে শুধু এই কারণে বহিষ্কার করা হইয়াছে যে তাহারা বলে ‘আল্লাহ আমাদের প্রতিপালক’। আল্লাহ যদি এই সকল মানুষের এক দল অন্য দল দিয়ে প্রতিহত না করিতেন, তাহা হইলে সাধু-সন্ন্যাসীদের মঠ, গির্জা, ইহুদীদের উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ যাহাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়, অবশ্যই ধ্বংস করিয়া দেওয়া হইত। এবং নিশ্চয় আল্লাহ তাহাদিগকে সাহায্য করিবেন যাহারা তাহার (ধর্মের পথে) সাহায্য করে, নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় শক্তিমান, মহা পরাক্রমশালী।” এই আয়াতগুলিতে এই মৌলিক শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, ধর্মের বিশ্বাসের এবং এর বিরুদ্ধে দূরাচরণের সুরক্ষা ব্যতীত অন্য কোনো কারণ জেহাদের ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়েছিলেন যে যে কেউ লুণ্ঠনের জন্য, বা তার সাহসিকতার প্রদর্শনী বা অন্য যে কোন পার্থিব উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যুদ্ধে বেরিয়েছে সে নিজেকে আধ্যাত্মিক প্রতিদান থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন যে, কোনও ব্যক্তি মুসলমান নন যার জিহ্বা এবং হাত থেকে অন্য মানুষ নিরাপদ নয়।
অনেক উদাহরণ এর মধ্য থেকে উপরের কয়েকটি উদাহরণ থেকে বোঝা যায় মুসলমানরা মানবজাতির মধ্যে ভালোবাসা ও শান্তির প্রচার করতে শান্তিকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর, ৯/১১ এর তথাকথিত মুসলমানদের দ্বারা সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা নয়।
Khalifa of Islam in modern times.
The Holy Qur’an and Science Conference
The Holy Qur’an and Science Conference Live streaming Shorty.
খেলাফত এখন পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে, অতএব খোদার কোন্ কোন্ নেয়ামতকে তোমরা অস্বীকার করবে। https://voiceofislambangla.com/
খেলাফত এখন পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে, অতএব খোদার কোন্ কোন্ নেয়ামতকে তোমরা অস্বীকার করবে।
https://voiceofislambangla.com/
“সত্যের সন্ধানে” – সরাসরি সম্প্রচার
“সত্যের সন্ধানে” – সরাসরি সম্প্রচার ২২১তম অনুষ্ঠান – ৩১শে অক্টোবর, ২০১৯ইং – দুপুর ২টা ০০মি: (গ্রিনিচ মান সময়) | বাংলাদেশ সময়: রাত ৮টা ০০মি: ২২২তম অনুষ্ঠান – ১লা নভেম্বর, ২০১৯ইং – দুপুর ২টা ৩০মি: (গ্রিনিচ মান সময়) | বাংলাদেশ সময়: রাত ৮টা ৩০মি: ২২৩তম অনুষ্ঠান – ২রা নভেম্বর, ২০১৯ইং – দুপুর ২টা ০০মি: (গ্রিনিচ মান সময়) | বাংলাদেশ সময়: রাত ৮টা ০০মি: ২২৪তম অনুষ্ঠান – ৩রা নভেম্বর, ২০১৯ইং – দুপুর ২টা ০০মি: (গ্রিনিচ মান সময়) | বাংলাদেশ সময়: রাত ৮টা ০০মি:
https://voiceofislambangla.com
সত্যের সন্ধানে সরাসরি সম্প্রচার
সত্যের সন্ধানে সরাসরি সম্প্রচার ২২১তম অনুষ্ঠান – ৩১শে অক্টোবর, ২০১৯ইং – দুপুর ২টা ০০মি: (গ্রিনিচ মান সময়) | বাংলাদেশ সময়: রাত ৮টা ০০মি: ২২২তম অনুষ্ঠান – ১লা নভেম্বর, ২০১৯ইং – দুপুর ২টা ৩০মি: (গ্রিনিচ মান সময়) | বাংলাদেশ সময়: রাত ৮টা ৩০মি: ২২৩তম অনুষ্ঠান – ২রা নভেম্বর, ২০১৯ইং – দুপুর ২টা ০০মি: (গ্রিনিচ মান সময়) | বাংলাদেশ সময়: রাত ৮টা ০০মি: ২২৪তম অনুষ্ঠান – ৩রা নভেম্বর, ২০১৯ইং – দুপুর ২টা ০০মি: (গ্রিনিচ মান সময়) | বাংলাদেশ সময়: রাত ৮টা ০০মি:
শান্তি ও প্রগতির দুত নিখিল বিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান খলিফা হযরত মির্জা মাসরুর আহমাদ (আল্লাহ তাঁর হাতকে শক্তিশালী করুন) স্ট্রাসবুর্গ , ফ্রান্সএ মাহ্দী মসজিদ উদ্ভোদন করেন। । https://voiceofislambangla.com/
শান্তি ও প্রগতির দুত নিখিল বিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান খলিফা হযরত মির্জা মাসরুর আহমাদ (আল্লাহ তাঁর হাতকে শক্তিশালী করুন) স্ট্রাসবুর্গ , ফ্রান্সএ মাহ্দী মসজিদ উদ্ভোদন করেন। ।
https://voiceofislambangla.com/